বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগে থেকেই। খেলা শুরুর সময় থেকেই আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। ইনিংসের মাঝপথে বাড়ে মেঘের ঘনঘটা। শঙ্কা সত্যি করে শেষদিকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নামে বৃষ্টি।
তবে বৃষ্টির বেগ কমে যায় ২ মিনিট না যেতেই। আবারও দেখা যাচ্ছে নাটকীয় বৃষ্টি; একবার থামে একবার আসে। গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ৪টা ৮ মিনিট থেকে ৪টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত খেলা বন্ধ ছিল। এরপর খেলা শুরু হলেও ২ ওভার ২ বলের বেশি মাঠে গড়ায়নি। ১০ মিনিট পর বন্ধ হয়ে যায় খেলা।এবারে বৃষ্টির তেজ আগের চেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দুদল। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৪৩.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩ রান। উইকেটে আছেন অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান মুশফিক ১১১ বলে ৯৬ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২১ বলে ৮ রানে।
৪১.১ ওভারের পর প্রথমবার খেলা থেমেছিল। প্রায় আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকলেও তখন কাটা যায়নি কোনো ওভার। আকাশ কালো হয়ে থাকায় দুপুর থেকেই জ্বলছে ফ্লাডলাইট।
১৬তম ওভারে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আগের ম্যাচের মতো ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নামেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। তারা সফলও হন। তাদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ১০৮ বলে ৮৭ রান। বাউন্ডারি মেরে নয়, সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তারা।
লাকশান সান্দাকানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মাহমুদউল্লাহ। প্যাডল সুইপ করতে চেয়েছিলেন এই ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিন্তু উইকেটরক্ষক কুসল পেরেরা ছিলেন আগে থেকে প্রস্তুত। বাঁদিকে সরে তিনি এক হাতে লুফে নেন দুর্দান্ত একটি ক্যাচ। ৫৮ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ ৪১ রান।
এরপর ফের বাংলাদেশকে চেপে ধরে লঙ্কান বোলাররা। তাতে ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খুইয়ে ফের চাপে পড়ে তামিম ইকবালের দল। আফিফ হোসেন পেসার ইসুরু উদানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। মিড অন থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে বল হাতে জমান পাথুম নিসানকা। বাঁহাতি আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ২ চারে ১০ রান।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে কুপোকাত হয়ে বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজ। বল তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে স্টাম্পে। ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ফলে দলীয় ১৮৪ রানে পতন হয় বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটের।
এই বিপর্যয়ের আগে ৭০ বলে ওয়ানডেতে নিজের ৪১তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। শেষ ছয় ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ফিফটি। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক আবারও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন। তার ইনিংসে চার মাত্র তিনটি। স্ট্রাইক বদল করে খেলছেন তিনি।