spot_img

ধূমপান ছাড়ার কার্যকর কিছু উপায়

অবশ্যই পরুন

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তা সবারই জানা। তারপরও আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ধূমপানে অভ্যস্ত। এদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে ধূমপান ত্যাগ করতে চান। কিন্তু ছাড়ি ছাড়ি করে তা আর হয়ে ওঠে না।

আবার অনেকেই মনে করেন, একবার ধূমপান ধরলেন তো সারাজীবন এর সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ হবে না। তবে ধারণাটি ভুল। একটু চেষ্টা করলেই ধূমপান ত্যাগ করা সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক ধূমপান ছাড়ার কার্যকর কিছু উপায়-

আদা:

ধূমপান ছাড়তে আদা কাজে লাগতে পারে। এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে দমিয়ে দেয়। আদা চা বা কাঁচা আদা খেতে পারেন।

মরিচের গুঁড়া:

নিয়মিত মরিচের গুঁড়া যদি খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। একই সঙ্গে ধূমপানের ইচ্ছাও কমতে থাকে। খাবারের মধ্যে বা এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমাণ মরিচের গুঁড়া ফেলে সেই পানি পান করলে দারুণ উপকার পাওয়া যেতে পারে।

ঠাণ্ডা পানি: 

সিগারেট টানার অভ্যাসের বদলে স্ট্র দিয়ে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। গবেষণা অনুযায়ি, এটি ‘ডোপামিন’ নিঃসরণ করে। একটি ভালো লাগার অনুভূতি উদ্রেককারী মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান যা মন ভালো রাখে।

জিনসেং:

এক চামচ জিনসেং পাউডার জুসে বা সুপে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে সারা দিনের জন্য সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ফলে নেশার ফাঁস ধীরে ধীরে আলগা হতে শুরু করে।

ঘনঘন দাঁত মাজা: 

ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার তাৎক্ষনিক উপকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মুখের স্বাদ বেড়ে যাওয়া এবং দুর্গন্ধ না হওয়া। ঘনঘন দাঁত মাজলে সিগারেট জ্বালানো এবং পরিষ্কার মুখটাকে নষ্ট করার তাড়না কমে আসবে।

সময় কাটান ‘নো স্মোকিং জোন’য়ে: 

ধূমপানের তাড়না অনুভব করলে এমন জায়গার যান যেখানে ধূমপান করা নিষেধ। হতে পারে তা সিনেমা হল, গ্রন্থাগার, দোকান ইত্যাদি। স্থানটি আপনার জন্য যত বেশি আকর্ষণীয় হবে, ধূপমানের তাড়না দূরে রাখা ততটাই সহজ হবে।

মুখে রাখুন অন্য কিছু: 

ধূমপানের তাড়নার একটি অংশ হল মুখে কিছু থাকা। তাই সিগারেটের পরিবর্তে চুইংগাম, ক্যান্ডি বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেয়ে এই তাড়না প্রশমিত করতে পারেন। ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে বেছে ক্যালরি কম থাকে এমন স্ন্যাকস খাওয়া যেতে পারে।

কাউকে পাশে রাখুন: 

এক্ষেত্রে সবচাইতে উত্তম হবে একজন বন্ধু, যে নিজেও একজন ধূমপায়ী ছিল। তবে আপনার প্রতি যত্নবান এবং চায় যে আপনি ধূপমান ছেড়ে দেন এমন যে কেউ কঠিন সময়গুলোতে সহায়তা করার জন্য যথেষ্ট।

ব্যস্ত থাকুন প্রিয় কাজে: ধূপমান ত্যাগ করার পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ নিজেকে পছন্দের কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান এবং ধূমপানের তাড়না ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। যত বেশি ব্যস্ত, ভুলে থাকা ততটাই সহজ হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আগামীতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেন কোনো রাজনীতি না হয়: ক্রীড়া উপদেষ্টা

রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে চিকিৎসকদেরও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শনিবার (২৩...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ