সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে সফররত ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ঢাকার সেনানিবাসে অবস্থিত সেনা সদরদফতরে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সৌজন্য সাক্ষাতে তারা কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দুদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন বাস্তবায়ন, সেনা বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষক বিনিময়, পারস্পারিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়সমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভারতের প্রশংসনীয় সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। একইভাবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জেনারেল আজিজ আহমেদ।
সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেনারেল নারাভানে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেনাকুঞ্জে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। গার্ড অব অনার শেষে জেনারেল নারাভানে সেনাকুঞ্জে বৃক্ষরোপণ করেন।
জেনারেল নারাভানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ৮ এপ্রিল সকালে ঢাকায় আসেন। সফরকালে ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১১ এপ্রিল ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিতব্য ‘আর্মি চিফস কনক্লেভ’-এ অংশগ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৪-১২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বহুজাতিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’ পরিচালিত হচ্ছে। এই অনুশীলনের সর্বাপেক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় ‘আর্মি চিফস কনক্লেভ’ যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের সেনাপ্রধানরাসহ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রধানরা ও বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। সফর শেষে ভারতীয় প্রতিনিধি দলটি আগামী ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।