‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিকের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার ভয়ে অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ১৯৮৮ সালে Cold War-এর সময় সিওল অলিম্পিক বয়কট করেছিল উত্তর কোরিয়া। এবার প্রথমবার কোনও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াল তারা। উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্ত অন্য দেশগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফলে ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর আয়োজনে জাপান ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জান-ইন অবশ্য আশা করেছিলেন, টোকিও অলিম্পিকের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে। কিন্তু অলিম্পিক থেকে উত্তর কোরিয়ার সরে দাঁড়ানোয় এই সম্পর্কে ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে সামিটে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে ২০২৩ অলিম্পিকে আয়োজনে যৌথভাবে বিড করার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া টোকিও অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ানোয় তা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
টোকিও অলিম্পিক উদোক্তরা অবশ্য জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সরে দাঁড়ানোর খবর রিপোর্ট থেকে পেয়েছে তারা। তবে অ্যাথলিটদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তার সবরকম চেষ্টা করবে।