১৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনা টিকা গ্রহণ করে। এদিন মোট দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকাগ্রহণের রেকর্ড।
সোমবার টিকাগ্রহনকারীর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন এবং নারী ৭৯ হাজার ৫২৩ জন। এ সময়ে ২৯ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন।
সোমবার পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান গণটিকাদান কার্যক্রমে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ জন ও তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮৭ জন নারী। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এইএফআই রিপোর্ট করেছেন ৪৫৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ৭৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৪৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৭৪৪, রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৬০জন, রংপুর বিভাগে ২১ হাজার ৬১৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ হাজার ৭১০ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩১ এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ২২৭ জন টিকা নিয়েছেন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট টিকাগ্রহণকারী ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনের মধ্যে- ঢাকায় তিন লাখ দুই হাজার ৭০৫ জন, ময়মনসিংহে ৫০ হাজার ৭৩০, চট্টগ্রামে দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯, রাজশাহীতে এক লাখ ২৮হাজার ৭৬৩, রংপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৬৩৪, খুলনায় এক লাখ ২৮ হাজার ১৫৯ জন, বরিশালে ৫১ হাজার ৫২৩ এবং সিলেট বিভাগে ৯৩ হাজার ২৩৮ জন টিকা নেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি পাঁচটি হাসপাতাল এবং পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।