প্রথম ধাপে খুলনায় এসেছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ করোনার ভ্যাকসিন। আর সর্বপ্রথম টিকা নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।
তিনি জানান, খুলনায় সর্বপ্রথম টিকা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নগর পিতা তালুকদার আব্দুল খালেক। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা টিকা প্রদানের কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। সেখানে তিনি প্রথম টিকা গ্রহণ করবেন।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে ১৬ হাজার ৮০০ ভায়ালে খুলনা মহানগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ টিকা খুলনায় পৌঁছেছে। টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে নগরীর স্কুল হেলথ ক্লিনিকে। এখানে ১৩টি ও নয়টি উপজেলায় ১৭ আইএলআরে টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা সদর হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, বিজিবি হাসপাতাল, তালতলা হাসপাতাল ও লাল হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়া হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে স্ব-স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি টিকাদানকারী টিমে দুজন টিকা প্রয়োগকারী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবী থাকবে। টিকা প্রদান কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, করোনা টিকা নেওয়ার বিষয়ে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন চলছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন প্রথমে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক টিকা নেওয়ার পর আমি টিকা গ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। একই দিনে সরকারি অনেক কর্মকর্তা টিকা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর যারা টিকা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তাদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। টিকা পেতে অবশ্যই নিজের এনআইডি ও মোবাইল নম্বরযুক্ত করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের কাগজ দেখিয়ে তারপর টিকা গ্রহণ করতে হবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে খুলনায় ১ লাখ ৬৮ হাজার করোনার টিকা এসেছে। এছাড়া যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে ইচ্ছুক সেটা উল্লেখ করতে হবে ও সেখান থেকে টিকা নিতে হবে। তবে ১৮ বছরের নিচের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা, দুগ্ধবতী মা ও মুমূর্ষু রোগীরা টিকা নিতে পারবেন না।