২৭শে জানুয়ারি, বুধবার, দেশের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে দিনটি। এদিন, নানা শ্রেণীপেশার ২৬ জনের দেহে সফল টিকা দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশকেই পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সফল এই টিকা প্রয়োগ শুরু হচ্ছে পর্যায়ক্রমে।
এবার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও সার্বিক অভিজ্ঞতা যাচাই করতে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ আরো চারটি হাসপাতালে চলবে এই কার্যক্রম।
এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে যার তালিকা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ।
এরপরই টিকার নিবন্ধন করতে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে অ্যাপ ‘সুরক্ষা’। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও প্রশাসনের লোকজনসহ ১০০ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কাউকে জোর করে টিকা দেওয়া হবে না। যারা স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চান, কেবল তারাই টিকা পাবেন।
টিকাদানের পর পর্যবেক্ষণ শেষে আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ব্যাপক হারে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। টিকা নিয়ে কোন সংশয় নেই বলে আবারো জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তবে, পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ৩৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী যারা ১৮ বছরের কম বয়সী, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে না।