spot_img

ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই টিকা কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ: বৃটিশ দূত

অবশ্যই পরুন

ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন মনে করেন ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোই চলমান টিকা কার্যক্রমের আসল চ্যালেঞ্জ। এগুলো সমাজে ঝুঁকি তৈরি করে। তাই যথাযথ বা সঠিক তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ঐতিহাসিক দায়িত্ব তথা কার্যকর ভূমিকার কথা গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বৃটিশ দূত বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সবাইকে সম্মিলিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

চলতি বছরটি বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের জন্য বড় এক বছর উল্লেখ করে হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, চলতি বছরে বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

বছরজুড়ে বাংলাদেশের ‘অসাধারণ সাফল্য’ উদ্যাপনে বৃটেনও একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় ক’টি অনুষ্ঠান হবে ভার্চ্যুয়ালি, তবে ব্যক্তিগত উপস্থিতির মাধ্যমেও তারা কিছু কর্মসূচি পালনে চেষ্টা করবেন। বুধবার রাজধানীর বারিধারাস্থ নিজ বাসভবনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপে হাইকমিশনার ডিকসন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন।

জানান, দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সংলাপ, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জোর তৎপরতা, শিক্ষা খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা বাড়ানো এবং আসন্ন বৈশ্বিক জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনসহ বেশকিছু কর্মসূচিতে ’২১ সালজুড়ে সক্রিয় থাকবে বৃটেন।

জলবায়ু ইস্যুটি বাংলাদেশ, বৃটেনসহ পুরো বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের সমাপনীতে গ্লাসগোতে ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বৃটেন। প্যারিস চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্য পূরণে আসন্ন কপ-২৬ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

হাইকমিশনার বলেন, কপ-২৬ এর আয়োজন ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা প্রথম সারির সব দেশ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং সংস্থা তথা মানুষকে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অনুপ্রেরণা দিতে বৃটেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

হাইকমিশনার বলেন, জলবায়ুর বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে এ ইস্যুতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সময় সিভিএফে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে বৃটেনের ভূমিকা বিষয়ে হাইকমিশনার ডিকসন বলেন, সংকটের সমাধানটি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্যই তারা সত্যিকার অর্থে এতে জোর দিচ্ছেন।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তায় বৃটেন ঢাকার পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে এ ইস্যুতে সব সময় সক্রিয় থাকবে বৃটিশ সরকার। অনুষ্ঠানে ডিকাব সভাপতি পান্থ রহমানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

আগামীতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেন কোনো রাজনীতি না হয়: ক্রীড়া উপদেষ্টা

রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে চিকিৎসকদেরও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শনিবার (২৩...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ