ইন্দোনেশিয়ায় সাগরে বিধ্বস্ত ৬২ যাত্রীবাহী ‘বোয়িং ৭৩৭’ মডেলের উড়োজাহাজটির আরোহীদের খুঁজতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন ২৬০০ উদ্ধার কর্মী। তবে এতোজন উদ্ধারকর্মী উদ্ধার কাজ চালিয়ে গেলেও এখনো কাউকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় নি। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা উড়োজাহাজটির সকল যাত্রীই মারা গেছেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) জাকার্তা থেকে পনতিয়ানাক যাওয়ার পথে উড্ডয়নের কিছু সময়ের মধ্যেই জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় ওই উড়োজাহাজ। এতে ১২ ক্রু ও ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে তিন নবজাতকসহ সাত শিশুও ছিলেন। যাদের সবাই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, হেলিকপ্টার ও জলযান নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন কর্মীরা। ৬২ আরোহীকে খুঁজতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছেন ২৬০০ কর্মী। অনেক মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ মিলেছে। প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজটি তিন হাজার মিটার নিচে নেমে আসে। তারপর আর যোগাযোগ করা যায়নি। স্থানীয় সময় শনিবার ২টা ৪০ মিনিটে উড়োজাহাজটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি জানায়, ভারী বৃষ্টির মধ্যে উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় ২৬ বছরের পুরোনো বিমানটি হারিয়ে যায়। এরই মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে উড়োজাহাজটির দুটি ব্ল্যাকবক্সের অবস্থান। শিগগিরই ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারে অভিযান শুরু হবে।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, বিমানটি রাডার থেকে হারানোর আগ মুহূর্তে এয়ার ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এর গতিপথ পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উড়োজাহাজটির পাইলটও ছিলেন অভিজ্ঞ। বিমানবাহিনীর সাবেক ওই পাইলট কয়েক দশক ধরে উড়োজাহাজ চালাচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সাগরের ২৩ মিটার গভীর থেকে কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজে থাকা যাত্রীদের শনাক্ত করতে তাদের পরিবারকে ডিএনএ নমুনা দিতে বলেছে।