ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোয় ফের সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ চালালো এডিএফ জঙ্গিরা। নিহত ২২ জন। তার মধ্যে ১০ জন নারী। এর আগে নতুন বছরের গোড়ায় ২৫ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় মানুষের দাবি, ‘গণহত্যা’ শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মঙ্গলবার কঙ্গোর পূর্ব প্রান্তে মেওয়ান্ডা গ্রামে হানা দেয় অ্যালায়েড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এডিএফ) জঙ্গিরা। স্থানীয় মানুষের দাবি, জঙ্গিদের কাছে কাটারি এবং বন্দুক ছিল। গ্রামে ঢুকে একের পর এক বাড়িতে হামলা চালায় তারা। বাদ দেওয়া হয়নি শিশু এবং নারীদের। প্রবল মারের মুখে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২২ জনের। ১০ জন গুরুতর আহত। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর রাতেও জঙ্গিরা আক্রমণ চালিয়ে ২৫ জনকে হত্যা করেছিল। ২০২০ সালে একাধিকবার এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ওই জঙ্গি সংগঠনটি।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, মেওয়ান্ডায় হত্যা চালানোর পর পাশেই আরেকটি গ্রামে একই ভাবে আক্রমণ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তবে সেখানে নিহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোয় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ সেখানে লেগেই আছে। সম্প্রতি এডিএফ যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাও এথনিক ক্লিনজিংয়ের ঘটনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় মানুষ তো বটেই, জাতিসংঘও নিউ ইয়ার ইভ এবং মঙ্গলবারের ঘটনাকে গণহত্যা বলে দাবি করেছে। স্থানীয় মানুষের দাবি, প্রশাসন হামলা রুখতে ব্যর্থ। প্রতিদিন আক্রমণের ভয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা জাতিসংঘও করে উঠতে পারেনি।