ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দুই দিন আগেই ফোনে ইরাকের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লেবাননের আল-মায়াদিন এ বিষয়ে আদিল আব্দুল মাহদির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে। তিনি ওই দিনের কথোপকথনের বিস্তারিত জানিয়েছেন।–আল মায়াদিন
আদিল আব্দুল মাহদি বলেছেন, ট্রাম্প গত বছর ইংরেজি নববর্ষের রাতে ইরাক সময় ৯টার দিকে আমাকে ফোন করেন এবং মার্কিন দূতাবাসে আক্রমণের ইতি ঘটায় তিনি আমাকে জানান। এরপর ট্রাম্প আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন- তারা (আক্রমণকারীরা) কারা ছিল ইরাকি নাকি ইরানি? আমি বলেছিলাম যে, ইরাকিরা ছিল। তারা সিরিয়া-ইরাক যৌথ সীমান্তে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ওপর বিমান হামলার জন্য ক্ষুব্ধ ছিল। তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। আদিল আব্দুল মাহদি জানান, এরপর ট্রাম্প জানান আমেরিকানরা ইরানিদের ভালো করে চেনে না, তবে ইরাকিরা তাদের ভালো করেই চেনে। আমি ট্রাম্পকে বলেছিলাম যে, ইরানিরা বলছে তারা যুদ্ধ চায় না যেমনিভাবে আমেরিকানরাও চায় না। আমি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তিনি যেন হয় ইরানিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন অথবা ২০০৩ সালের একটা সমঝোতায় পৌঁছায়। এরপর ট্রাম্প আমাকে বলেছিলেন, আপনি ভালো আলোচক, আপনি যা পারেন তা করুন এবং আমরা প্রস্তুত আছি।
মাহদি বলেন, সিদ্ধান্ত হয় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি সরকারি আমন্ত্রণে ইরাকে আলোচনার জন্য আসবেন। আসলে তাকে হত্যার সিদ্ধান্তটি দু-একদিনের পরিকল্পনা ছিল না বরং দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। এর আগেও ইরাকের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ইরানি জেনারেল হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বাগদাদে সরকারি সফরের সময় গত বছরের ৩ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইরানের জেনারেল সোলাইমানি, ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদী আল-মোহানদেস ও আরও আট জন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।