১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ ও গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লা উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ রোববার (২৩ মে) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারে নয়, বিরোধীদলে থাকার সময়ও আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকুক আর বিরোধীদলে থাকুক সব সময় মানুষের পাশে থেকেছে।
সারা বিশ্বের মানুষ এখন বাংলাদেশকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে বলেও মন্তব্য করেন টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। করোনা থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। করোনা মোকাবেলায় সরকারি বিধিনিষেধের ফলে সৃষ্ট কষ্ট লাঘবে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। এরই আধুনিক রূপ হিসেবে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে। এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাট-বাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
সূত্র জানায়, উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব ৩২০ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ৫৬ হাজার বিপদাপন্ন মানুষ এবং প্রায় ৪৪ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদিপশুসহ সবকিছু নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।
এছাড়া, বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসে বন্যাপীড়িত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২৩০টি দ্বিতল বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এবং ২৩ হাজার গবাদিপশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৮-২০২২ মেয়াদে ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান।