আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। আনন্দ ও খুশির দিন। শুধু নেক বান্দাদের জন্যই খুশির দিন। যারা এক মাস ধরে সিয়াম সাধনা করেছেন, তাদের জন্যই আনন্দ ও উৎসবের দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ দিনটি আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার লাভেরও দিন।
ঈদুল ফিতরের দিন একদল ফেরেশতা দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চলো। তিনি তোমাদের কল্যাণ দান করবেন। তিনি তোমাদের পুরস্কার দেবেন।’
ঈদের পূর্ণাঙ্গ আনন্দ-খুশি ও কল্যাণ অর্জন করতে হলে আরো ঘনিষ্ঠ করতে হবে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। সুসম্পর্ক, ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ করতে হবে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে, হৃদ্যতা ও ভালোবাসার সম্পর্কের মাধ্যমে। উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে বন্ধু-বান্ধব স্বজনদের সঙ্গে সহমর্মিতা ও সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব রেখে যতটা পারা যায় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
ঈদের দিনে রয়েছে ১৩টি সুন্নাত । যা রাসূল (সা.) করতেন। জেনে নিন সেগুলো…
১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
২. মিসওয়াক করা।
৩. গোসল করা।
৪. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা।
৫. সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে মিষ্টি জাতীয় যেমন খেজুর ইত্যাদি খাওয়া।
৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া।
৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা।
১০. ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা।
১১. যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে, সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা।
১২. পায়ে হেঁটে যাওয়া।
১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আস্তে তাকবীর পড়তে থাকা।
ঈদের অনাবিল সুখ-আনন্দ শুধু রোজাদারদের জন্য। যারা ইচ্ছাকৃত রোজা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জন্য এ আনন্দ নয়। ঈদের আনন্দ-খুশিতে ভরে উঠুক সারাদেশ, সমগ্র মুসলিম উম্মাহ।