ইন্দোনেশিয়ায় বাঁশের তৈরি অনেক স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য সুন্দর মসজিদও রয়েছে। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো একটি অনিন্দ্য সুন্দর মসজিদ। মসজিদটি দেশটির জাভা দ্বীপের সর্বপশ্চিমের প্রদেশ বান্টেনের সেরাং রিজেন্সির ক্রাগিলান জেলায় অবস্থিত।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি সোমবার মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এর নাম রাখা হয়েছে সাকা বুয়ানা মসজিদ। সংস্কৃত শব্দ ‘সাকা’ অর্থ স্তম্ভ এবং ‘বুয়ানা’ অর্থ বিশ্ব। সুতরাং সাকা বুয়ানা অর্থ দাঁড়ায় ‘বিশ্বের স্তম্ভ’।
ইন্দোনেশিয়া বাঁশ ফাউন্ডেশন ২৬০ বর্গমিটার আয়তনের এ মসজিদটিকে ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম বাঁশের মসজিদ বলে অভিহিত করেছে।
স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রজ্ঞার প্রয়োগে এটিকে অনন্য করে তুলতে এবং নৈসর্গিক ছোঁয়া দিতে মসজিদ ভবনের নকশায় বাঁশকে প্রধান উপাদান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ কাঠামো নির্মাণের ৬০ শতাংশ বাঁশের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
মসজিদের দেয়াল, ছাদ ও মিম্বর বেতের কারুকাজ ও বার্নিশ করা বাঁশ দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে নির্মাণ বরা হয়েছে। এর মিনারটিও তিনটি ধাপসহ বাঁশের কাঠামো দিয়ে তৈরি এবং মিনারের চূড়ায় ‘আল্লাহ’ শব্দটির চারুলিপি এবং একটি লাউড স্পিকার স্থাপন করা হয়েছে।
মসজিটি পশ্চিম জাভানিজ স্থাপত্য শৈলীতে ‘পারাহু নাংকুব’ বা উল্টো নৌকার মডেলে নির্মাণে করা হয়েছে। মসজিদে রয়েছে একটি সুদৃশ্য গাজেবো বা আটকোণা দেহলি, যাতে কাঁচের অলঙ্করণ করা ‘আল্লাহ’ ও ‘মুহাম্মাদ’ শব্দদু’টি মুসল্লিদের অভ্যর্থনা জানায়।
মসজিদের পুরো অভ্যন্তর ভাগে বাঁশের অলঙ্করণ ব্যবহার করা হয়েছে। সজ্জায় রয়েছে একটি ইসলামিক দর্শন, মিহরাবে অবস্থিত পাঁচটি সূঁচালো বাঁশ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ এবং বৃত্তাকার হিজাবের আকারে ছয়টি বাঁশ ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ মূর্ত করে তোলে। এছাড়া মিহরাবের দুটি বড় বাঁশের খুঁটি কলেমা শাহাদতের দুটি বাক্যের প্রতিনিধিত্ব করে।