করোনাভাইরাসের মারাত্মক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ব্রিটেন। তবে, নতুন নতুন স্ট্রেইন বা ধরন শনাক্ত হওয়ায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিতর্ক ভাবিয়ে তুলেছে বরিস জনসনের সরকারকে।
ভারতে গত মাসেই করোনাভাইরাসের নতুন ‘ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্ত হওয়ার পর বেশ সতর্ক অবস্থানে ছিল ব্রিটেন সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত ভারতকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার লাল তালিকাভুক্তি না করায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সাধারণ ব্রিটিশদের মধ্যে। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টটি অত্যন্ত ভয়াবহ বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞারা।
লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিত রায় বলেন, ‘ডাবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ ভাইরাসটি ওপর আমরা যে ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা কতটুকু কার্যকর এটার গবেষণা করার দরকার আছে। এটার ওপর ছোট্ট একটা গবেষণা করা হয়েছে মাত্র ২ হাজার লোকের ওপর, আর সেটার যে সফলতা সেটা কিন্তু হচ্ছে, এটা যে কার্যকর, তবে কতটুকু কার্যকর; সেটার একটা লেভেল এখনো কিন্তু পরিপূর্ণভাবে বলতে পারেননি তারা।
এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণে মানবদেহে রক্ত জমাট বাঁধাসহ সম্প্রতি বেশকিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। যদিও করোনা থেকে মুক্তি পেতে ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান এ ব্রিটিশ বাংলাদেশি চিকিৎসক।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের চিকিৎসক ডা. মনজুর শওকত বলেন, যাদের রক্ত জমাট বেঁধেছে বেশির ভাগ হচ্ছে টু থার্ড নারী, আর যাদের রক্তের জমাট বেঁধেছে তাদের বেশির ভাগ বয়স ৫০-এর নিচে। গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি জানা প্রয়োজন ভ্যাকসিন নেয়ার পর চার দিন পর্যন্ত কোনা সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার।
ব্রিটেনে ইতোমধ্যেই ৩ কোটিরও বেশি মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৮৯ লাখ।