spot_img

টাকা শোধ না করায় ইসরায়েলে টিকার চালান স্থগিত ফাইজারের

অবশ্যই পরুন

চুক্তি অনুযায়ী টাকা শোধ না করায় ইসরায়েলে টিকার চালান স্থগিত করেছে ফাইজার। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাইজার-বায়োএনটেক কোম্পানি বরাবর ৭ লাখ ডোজ করোনা টিকার অর্ডার দেয়। আগামী রোববার নাগাদ এই টিকার চালান পৌঁছানোর কথা ছিল ইসরায়েলে। কিন্তু গত সোমবার (৫এপ্রিল) ফাইজার কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইসরায়েল সরকার পূর্ববর্তী চালানের অর্থ পরিশোধ না করলে বর্তমান চালানের ডোজগুলো দেশটিতে পাঠাবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে ফাইজার কর্তৃপক্ষের টিকার ডোজ ক্রয়-বিক্রয়ের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটি হালনাগাদ করার চেষ্টা করছে কোম্পানি। সেই কাজ শেষ হলেই ৭ লাখ ডোজ টিকার চালান পৌঁছে যাবে দেশটিতে।’

ফাইজারের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইসরায়েলের দৈনিক জেরুজালেম পোস্টকে জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে এক কোটি ডোজ করোনা টিকা কিনতে ফাইজারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইসরায়েল সরকার। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বউরলার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই চুক্তি।

সে অনুযায়ী গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি টিকার চালান দেশটিতে পাঠিয়েছিল ফাইজার। যথাসময়ে সেই চালানের অর্থও পরিশোধ করেছিল ইসরায়েল সরকার।

ডিসেম্বরের শেষ পর্যায় থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় ইসরায়েলে, কিন্তু গোল বাঁধে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে। টিকার ডোজে টান পড়ায় সে সময় ফাইজার বরাবর আরো ২৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা চেয়ে পাঠায় ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সেই অনুযায়ী ২৫ লাখ ডোজ টিকার চালান দেশটিতে পাঠিয়েও দেয় ফাইজার; কিন্তু কোম্পনির অভিযোগ, সর্বশেষ সেই চালানের টাকা এখনও পরিশোধ করেনি ইসরায়েল সরকার।

এদিকে, ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে ফাইজারের সাম্প্রতিক এই বিবৃতির কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো না হলেও ভবিষ্যতে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

তাদের উদ্বেগের প্রধান কারণ, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষিতে বর্তমানে টিকার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। যদি সাম্প্রতিক টিকার চালান দীর্ঘদিনের জন্য স্থগিত করে ফাইজার, সেক্ষেত্রে চলমান টিকাদান কর্মসূচি স্থবির হয়ে পড়বে।

গণটিকাদান কর্মসূচির বর্তমান পর্যায়ে ইসরায়েলে ১৮ বছর/ তার অধিক বয়সী তরুণদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এই মূহুর্তে দেশটিতে ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা টিকার ডোজের মজুত আছে ২৭ লাখ; কিন্তু দেশের শিশু, তরুণ ও যুবসমাজের উল্লেখযোগ্য অংশকে টিকার আওতায় আনতে হলে আরও টিকার ডোজ প্রয়োজন।

ইসরায়েলের করোনা টাস্কফোর্সের কমিশনার অধ্যাপক নাশমান অ্যাশ জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা কেনার প্রতিযোগিতা চলছে। যদি চুক্তি সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে বিলম্ব হয় সেক্ষেত্রে দেশের শিশু ও তরুণসমাজকে টিকার আওতায় আনার প্রকল্পও পিছিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত গণটিকাদান কর্মসূচিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় যথেষ্ট সফল ইসরায়েল। এই সাফল্য ধরে রাখতে হলেই অবিলম্বে এই জটিলতা সমাধান করা প্রয়োজন।’

সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ