চুক্তির অংশ হিসেবে আফ্রিকার দেশ সুদানের কাছ থেকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। পরে এ খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন।
সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা, ২০০০ সালের ইউএসএস কোলে হামলা এবং খার্তুমে ইউএসএইডের এক কর্মচারী হত্যার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে এই অর্থ বিতরণ করা হবে
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাজের দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল। আমরা আশা করি যে, এই অর্থ ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্তদের কিছুটা সহায়তা করবে।
বিগত কয়েক দশক ধরেই সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকের রাষ্ট্রীয় তালিকায় সুদানের নাম ছিল। সেখান থেকে তাদের নাম সরানোর ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান শর্ত হলো মিলিয়ন ডলারের এই বন্দোবস্তটি।
অর্থগুলো পরিশোধ করায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলেই সন্ত্রাসবাদের তালিকা থেকে আফ্রিকার দেশটির নাম সরিয়ে ফেলা হয়। গত বছরের অক্টোবরে একটি এসক্রো অ্যাকাউন্টে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করে সুদান সরকার। পাশাপাশি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের ঘোষণা দেয় তারা। এরপরই মূলত এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
গত ১১ মার্চ ওই টাকাগুলো এসক্রো অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রহণ করে ওয়াশিংটন। সিএনএনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র।
১৯৯৮ সালে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি ও তানজানিয়ার দারুসসালামে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলা চালায় আল-কায়েদা। তখন সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের নেতৃত্বে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় এবং আল কায়েদার কর্মীদের সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় অন্তত ২০০ মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার লোক আহত হন।