spot_img

শেষ মুহূর্তের গোলে মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের ড্র

অবশ্যই পরুন

ডার্বি হারলে লিগটা চলে যেত ধরাছোঁয়ার বাইরে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে সে শঙ্কাটাই পেয়ে বসেছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকের গোলে কোনোক্রমে রক্ষা পেয়েছে জিনেদিন জিদানের দল।

১-১ গোলের এই ড্রয়ে রিয়ালের শিরোপা ধরে রাখার আশা টিকে থাকল। তবে সবচেয়ে বড় লাভটা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার। দুই মাদ্রিদের ড্রয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো থেকে তিন পয়েন্টের দূরত্বে চলে এসেছেন লিওনেল মেসিরা।

ম্যাচের আগে সব পরিসংখ্যান কথা বলছিল রিয়ালের পক্ষে। শেষ পাঁচ বছরে যারা ডার্বি হারেনি, ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় নেই হার। সর্বশেষ গোলটাও হজম করেছিল সেই ২০১৯ সালে। অ্যান্টোয়ান গ্রিজমানের সেই গোলটার পর ৩৩৫ মিনিট পেরিয়ে গেলেও আর রিয়ালের জালে বল জড়াতে পারেনি কোচ দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। তার ওপর লুই সুয়ারেজদের চোখরাঙানি দিচ্ছিল ঘরের মাঠে টানা তৃতীয় হার, যেটা হয়ে গেলে অ্যাটলেটিকো ডাগআউটে প্রথমবারের মতো এই তেতো স্বাদটা পেতেন সিমিওনে।

তবে দলে যখন লুই সুয়ারেজ আছেন, যার প্রিয় প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ, তাহলে আর ভয়টা থাকে কোথায়? উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড সে ভয়টা ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছেন ম্যাচের ১৫তম মিনিটেই। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার মার্কোস ইয়োরেন্তের পাস থেকে তার ডান পায়ের বাইরের দিক থেকে করা দুর্দান্ত এক শট আছড়ে পড়ে জালে। ২৪ মিনিটে আরো একটা গোলের সুযোগ গড়ে দিয়েছিলেন সুয়ারেজ। তবে তার বাড়ানো বলটা আয়ত্বেই আনতে ব্যর্থ হন ইয়ানিক কারাসকো। ৩৮ মিনিটে আবারও সুয়ারেজের হানা রিয়াল রক্ষণে, তবে তার শটটা ঠেকিয়ে রিয়ালকে ম্যাচে রাখেন থিবো কোর্তোয়া।

বিরতির আগে পেনাল্টির দাবি জানিয়েছিল রিয়াল। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলটা লুইস ফেলিপে বিপদমুক্ত করলেও, তা লেগে যায় তার হাতে। পরে ভিএআর দেখে রেফারি এরনান্দেজ এরনান্দেজের সেটাকে পেনাল্টি মনে হয়নি আদৌ। ফলে এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল। ফিরে এসে রিয়াল শুরুটা ইতিবাচকই করেছিল, তবে চূড়ান্ত সফলতা মিলছিল না অ্যাটলেটিকোর দৃঢ়তায়।

নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে অবশ্য ‘রোহিব্ল্যাঙ্কো’রা আক্রমণে উঠতে সময় নেয়নি খুব। ৫৩ মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে সুয়ারেজকে দুবার গোলবঞ্চিত রাখেন কোর্তোয়া। ফলে ম্যাচটা ছিল রিয়ালের নাগালের ভেতরই। এর ফায়দাই রিয়াল তুলেছে অন্তিম সময়। ৮৮ মিনিটে ক্যাসেমিরোর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে আগুনে এক শটে রিয়ালকে একটা পয়েন্ট এনে দেন বেনজেমা।

১-১ গোলে এই ড্র অ্যাটলেটিকোকে উপহার দিয়েছে শেষ পাঁচ ম্যাচে চতুর্থবারের মতো পয়েন্ট খোয়ানোর তেতো স্বাদ। ফলে ২৫ ম্যাচ শেষে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা, তবে তাতে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানটা নেমে এসেছে তিনে, ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছেন লিওনেল মেসিরা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের সংগ্রহ ২৬ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ