নতুন আইন করে পোলান্ডে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে গর্ভপাত। আইনে বলা হয়েছে- ধর্ষণ বা মায়ের প্রাণহানির মতো গুরুতর ঘটনা ঘটলে তবেই গর্ভপাত করানো যাবে, নতুবা নয়। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নয় দেশটির এক শ্রেণির মানুষ। তাই এ নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন তারা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি- গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। কোনওভাবেই রাষ্ট্র এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনও দম্পতি বা বাবা মা যদি চান গর্ভপাত করাতে, তবে সেই অধিকার তাদের থাকা উচিত।
এদিন, প্রতিবাদকারীরা শ্লোগান তোলেন- ‘আই থিংক, আই ফিল, আই ডিসাইড।’ অর্থাৎ আমি ভাবব, আমি অনুভব করব, আমিই সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই বিক্ষোভের পর সুর কিছুটা নরম করে সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়, গর্ভস্থ ভ্রুণ যদি অসুস্থ হয়, তবে গর্ভপাত করানো অসাংবিধানিক। সেক্ষেত্রে মায়ের প্রাণ সংশয়কে গুরুত্ব দিতে হবে ও পরিস্থিতি বিচার করতে হবে।
জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। ওয়ারশর কনস্টিটিউশনাল কোর্টের সামনে প্রতিবাদ জানান তারা। পোল্যান্ডের মানবাধিকার কমিশনও গর্ভপাত আইনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, সরকার নারীবিরোধী। এটা এক ধরনের অত্যাচার।
গত বুধবার (২৭ জানুয়ারী) ওয়ারশর রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন নারীরা। লাল মশাল হাতে প্রতিবাদ দেখান তারা। তাদের দাবি, নারীদের অবদমন করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত সরকারের।
পোল্যান্ডের বিরোধী দলগুলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বাম দলের নেত্রী ওয়ান্ডা নোওইকা জানান, ‘নারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাষ্ট্র। কোনওদিন সেই যুদ্ধে জিততে পারবে না সরকার।’