spot_img

পাকিস্তানের জন্য নির্মিত তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধন করলেন এরদোগান

অবশ্যই পরুন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান শনিবার মিলেজেম প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত তৃতীয় যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করেছেন। জাহাজটির ওয়েল্ডিং কাজ শুরু হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এরদোগানের সাথে ছিলেন তুরস্কে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাইরাস সাজ্জাদ কাজী। পাকিস্তান নৌবাহিনীর জন্য মোট চার মিলেজেম অ্যাডা-শ্রেণির করভেট তৈরি করে দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তুরস্ক। তার মধ্যে তৃতীয়টি উদ্বোধর করা হলো। তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির স্পিকার মোস্তফা সেন্টোপ, তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকর, চিফ অব তুর্কিশ জেনারেল স্টাফ জেনারেল ইয়াসার গুলার, তুর্কি নৌ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক অ্যাডমিরাল আদনান ওজবাল, এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে, তুর্কি নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত ‘ইস্তাম্বুল’ (এফ-৫১৫) নামের আই-শ্রেণির ফ্রিগেটও উদ্ধোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ, যার সাথে তুরস্ক চমৎকার সম্পর্ক উপভোগ করে।’ তিনি বলেন, ‘তুরস্কের মতোই পাকিস্তান সঙ্কটপূর্ণ এক অঞ্চলে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে। আমি বিশ্বাস করি উভয় দেশ এই হুমকিকে পরাজিত করতে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।’

বিশ্বের ১০ দেশের মধ্যে তুরস্ক একটি, যারা নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ নকশা, তৈরি করা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম দাবি করে এরদোগান বলেন, আগামী পাঁচ বছরে নেয়া বড় পাঁচটি প্রকল্পের মাধ্যমে তুরস্কের নৌবাহিনী ‘প্রচণ্ড শক্তিশালী অবস্থানে’ পৌঁছাবে। তিনি বলেন, ‘তুরস্কের জন্য সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনীতিকভাবে শক্তিশালী হওয়া বাধ্যতামূলক। এটি বাছাই করার কোনো বিষয় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তুরস্ক এমন দেশে পরিণত হয়েছে, যে দেশ তার বন্ধু ও মিত্র দেশগুলোর চাহিদা মেটাতে পারে। স্থল ও সমুদ্রযানের ক্ষেত্রেও এই চাহিদা মেটানো হচ্ছে।’

পাকিস্তানের নৌবাহিনী তুরস্কের মিলিটারি ফ্যাক্টরি অ্যান্ড শিপইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশেরনের (এএসএফএটি) সাথে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে চারটি মিলগেম শ্রেণীর জাহাজের জন্য চুক্তি করেছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, আঙ্কারা তার নিজ শক্তিতে বৈশ্বিক সরবরাহদের চ্যালেঞ্জ ও নিষেধাজ্ঞাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। সাবমেরিন প্রযুক্তিতেও তুরস্কের এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, নৌবাহিনীতে আরো ছয়টি নতুন সাবমেরিন যোগ করা হবে। ২০২২ সালে পিরি রইসের মাধ্যমে এর সূচনা হবে।

একইসাথে ড্রোন শিল্পে তুরস্কের অগ্রগতিতে এরদোগান বলেন, মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) তৈরিতে বিশ্বের প্রথম তিন থেকে চারটি দেশের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল ফ্রিগেটের সাথে সমন্বিত করে কোরকুত লো-আল্টিচুড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের নৌ সংস্করণ হিসেবে গোকদেনিজ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে কাজ করবে তুরস্ক। এ ছাড়া টিসিজি আনাদোলু (এল-৪০০) জাহাজের পরে তুরস্ক নিজস্বভাবে একটি বিমানবাহী রণতরী তৈরির নকশা করবে বলেও জানান এরদোগান।

সূত্র: ডন, ডেইলি সাবাহ।

সর্বশেষ সংবাদ

কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি

পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাসমূহ যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ