ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, আমেরিকার স্বৈরশাসক ডোনাল্ড ট্রাম্পের চরম অপমানজনক বিদায়ে ইরানি জনগণের মনে খুশির হাওয়া বইছে। এছাড়াও তিনি বলেন, নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ মুহূর্তে দেশটির জনগণ ভয়াবহ রকম বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
গতকাল বুধবার তেহরানে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। রুহানি আরও বলেন, “যেদিন ইরানি জনগণ চাপপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের বিজয় অনুভব করছে সেই একইদিন আমেরিকার জনগণ তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশাল ব্যর্থতা ও নিজেদের মধ্যে ভয়াবহ বিভক্তি প্রত্যক্ষ করছে।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ববাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ‘স্বৈরশাসকের’ পতনের ‘অভূতপূর্ব ঘটনা’র সাক্ষী হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের অপমানজনক বিদায় প্রমাণ করছে, বলপ্রয়োগ, বর্ণবাদ ও আইন লঙ্ঘনের পরিণতি ভালো হয় না।”
হাসান রুহানি বলেন, “আমরা শুধুমাত্র আমেরিকার একটি প্রশাসনের পতন দেখছি না বরং একইসঙ্গে ইরানের মতো একটি দেশের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির করুণ পরিণতি দেখতে পাচ্ছি।”
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, “যে ব্যক্তির রাজনৈতিক বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে তার হাতে একটি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর তার সঙ্গে জুটেছিল এক নির্বোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং একজন অজ্ঞ ও উগ্র জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। সেই প্রেসিডেন্ট জুয়ার বাজির মতো করে এবং ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছে। আর এসব কিছুর পরিণতি আমরা এখন প্রত্যক্ষ করছি।”
গত বুধবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থক শ্বেতাঙ্গ দাঙ্গাবাজরা দেশটির কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও এক নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই হামলার পর দাঙ্গাকারীদের সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন এবং এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে অনুতাপ প্রকাশ করেননি। ওই ঘটনার দায়ে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ গতরাতে তাকে ইমপিচ করেছে।
সূত্র : পার্সটুডে