পাঁচ বছর পর পার্টি কংগ্রেস হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের। সেখানেই কিম জং উন এক বিরল স্বীকারোক্তি করলেন।
তিনি জানিয়ে দিলেন, ২০১৬ সালে যে অর্থনৈতিক লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা পূরণ করা যায়নি। তিনি জানিয়েছেন, ”এটা খুবই কষ্টকর শিক্ষা এবং এর পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়।”
কিম অবশ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য দাবি করেছেন। ব্যতিক্রম শুধু অর্থনৈতিক লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থতা। কিমের স্বীকারোক্তি, ”এর ফলে আমাদের জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে দেরি হবে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।” খবর এএফপি।
মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং-এ শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস। কয়েক হাজার প্রতিনিধি সেখানে যোগ দিয়েছেন। জানানো হয়েছে, এই পার্টি কংগ্রেসে আগামী পাঁচ বছরের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা পেশ করা হবে।
কিম এখানে নেতৃত্বে পরিবর্তনের কথাও ঘোষণা করতে পারেন। তার বোন কিম ইয়ো জং-কে নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। এমনকী তার হাতে বাজেট, অডিট ও সংগঠনের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পার্টি কংগ্রেস থেকে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনকেও একটা বার্তা দিতে পারেন কিম। উত্তর কোরিয়ার প্রত্যাশা, ট্রাম্প যে নীতি নিয়ে চলছিলেন, বাইডেন এসে তার পরিবর্তন ঘটাবেন।
গত বছর উত্তর কোরিয়া তাদের আগের পঞ্চবার্ষিকী আর্থিক পরিকল্পনা চুপচাপ বাতিল করে দেয়। কারণ, ততদিনে পরিস্কার, উত্তর কোরিয়ার পক্ষে আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে না।
এরপর করোনার কারণে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। বাইরের বিশ্বের সঙ্গে আর যোগ রাখছে না। উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের দেশে একজনও করোনা আক্রান্ত নেই। তবে উত্তর কোরিয়ার এই দাবি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।